বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
জাগো বাংলা / ৩০ টাইম ভিউ
আপডেট সময় : রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে উদযাপিত হলো বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলা বন্দরের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। শনিবার (১ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এদিনটি উদযাপন করা হয়।

১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর চালনা পোর্ট নামে মোংলা বন্দরের যাত্রা শুরু হয়। পরে ১৯৮৭ সালে এটি মোংলা পোর্ট অথরিটি নামে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রাত ১২:০১মিনিটে বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি সব জাহাজে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। সকালে বন্দরের সদর দপ্তর থেকে জেটি ফটক পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান বেলুন উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বন্দরের সেরা কর্মীদের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিশেষ অবদান রাখায় ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে পিআরএল ভোগরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদায় সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান জানান, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। পশুর চ্যানেলের ইনার বারে ড্রেজিং প্রকল্প সম্পন্ন হলে বড় জাহাজ হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে। মোংলা বন্দরের আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিবেশ দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বর্তমানে বন্দরে ৪৭টি জাহাজ একসঙ্গে নোঙ্গর করতে পারে। বন্দরের জেটি, মুরিং বয়া এবং এ্যাংকরেজ ব্যবস্থার পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি, কন্টেইনার ইয়ার্ড ও রেফার প্লাগ পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে।

মোংলা বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। বর্তমানে খাদ্যশস্য, সিমেন্ট ক্লিংকার, সার, তেল, পাথর, কয়লা, এবং যানবাহন আমদানির পাশাপাশি চিংড়ি, পাটজাত পণ্য, এবং হিমায়িত খাদ্য রপ্তানি করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বন্দরে ২৯ লাখ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২৪টিরও বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা অর্জন করেছে বন্দরটি। প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল এবং ভুটানের ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে মোংলা বন্দরের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, কাজী আবেদ হোসেন, ড. এ. কে. এম. আনিসুর রহমানসহ বন্দরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যবহারকারীরা। প্রধান অতিথি ছিলেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান।

২০০৮-২০০৯ অর্থবছর থেকে বন্দরের কার্যক্ষমতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় চলতি বছরে বিদেশি জাহাজ আগমন, কার্গো হ্যান্ডলিং এবং কন্টেইনার পরিবহনে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য দক্ষ সেবা প্রদান ও উন্নত অবকাঠামো নিশ্চিত করে দেশ ও অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখা।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
জনপ্রিয়
সর্বশেষ