শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

ভারতের প্রতি উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের স্পষ্ট বার্তা
জাগো বাংলা / ৩৫ টাইম ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ভারতকে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারত যদি জুলাই অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি না দেয়, তবে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে মাহফুজ আলম এই বার্তা দেন। পোস্টটি “ভারত ও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বিষয়ে” শিরোনামে ইংরেজিতে লেখা হয়েছে।

মাহফুজ আলম বলেছেন, “ভারতের উচিত পোস্ট-’৭৫ প্লেবুক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতাকে গ্রহণ করা। এটি আর ’৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতি নয়।”

তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিয়ে ভারতকে শুরু করতে হবে। এ ঘটনাগুলো পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করা হলে তা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, “জুলাই বিপ্লব ছিল গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক এবং দায়িত্বশীল সংগ্রামের ফল। এটি বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চলবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ এবং তাদের মর্যাদার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা যদি ভেবে থাকে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লবকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব, তবে তারা ভুল করছে। জনগণ সব দেখছে এবং মনে রাখছে।”

মাহফুজ আলম অভিযোগ করেন, “কিছু ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী এবং ইসলামপন্থীদের ক্ষমতা দখলের প্রচেষ্টা হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এই অপপ্রচার ব্যর্থ হয়েছে।”

তিনি বলেন, “‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা’ এবং ‘স্বদেশ না শাহাদাত’—এই স্লোগানগুলো বাংলাদেশের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু না বানায়।”

মাহফুজ আলম বলেন, “দীর্ঘ দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ অবাধে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার উপভোগ করছে। সত্যের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। এবার আমরা ব্যর্থ হব না। আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।”

মাহফুজ আলমের এই বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি ভারতের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা যে বাংলাদেশ তার মর্যাদা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করবে না।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
জনপ্রিয়
সর্বশেষ