বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন পরিকল্পিতভাবে অতিরঞ্জিত
জাগো বাংলা / ২৫ টাইম ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন পরিকল্পিতভাবে অতিরঞ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে শফিকুল আলম বলেন, বিপ্লব-পরবর্তী দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদন যে অতিরঞ্জিত তা প্রমাণিত হয়েছে নেত্র নিউজের একটি প্রতিবেদনে। নেত্র নিউজ একটি শীর্ষ অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট এবং নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের জন্য তাদের খ্যাতি রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম নেত্র নিউজের প্রতিবেদনের পর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ অন্তত একটি বিবৃতি দেবে। কারণ, তাদের প্রকাশিত অতিরঞ্জিত প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছে একটি শীর্ষ অনুসন্ধানী ওয়েবসাইট। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় তারা কোনো বিবৃতিও দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনে নয়জন হিন্দু সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এটা কোনোভাবেই সত্য নয়। তারা কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত হয়নি। বরং তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর পেছনে রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং অন্যান্য কারণ ছিল। এই এই একই সময়ে একই কারণে আরও বহু মানুষও নিহত হয় যারা হিন্দুও নয়, সংখ্যালঘু নয় বরং সংখ্যাগরিষ্ঠ।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, হিন্দুদের ওপর বিপ্লব-পরবর্তী হামলার প্রতিবেদনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ১১ মিলিয়নেরও বেশি বার উদ্ধৃত করা হয়েছে। বিশেষ করে এটা প্রচার করছে শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী একটি হিন্দু আমেরিকান গোষ্ঠী, ভারতীয় মিডিয়াগুলো এবং ভারতীয় ভাষ্যকাররা। তারা বাংলাদেশ নিয়ে ভুল মেসেজ তৈরি করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।

তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত গুরুতর। আমরা আশা করি, শীর্ষ ধর্মনিরপেক্ষ এবং উদারপন্থি সংবাদপত্রগুলো কাউন্সিল দ্বারা প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনকে বিশ্বাস না করে তারা নিজেরা তদন্ত করবেন।

তিনি আরও বলেন, এসব মিথ্যা রিপোর্টের ভিত্তিতে কেউ কেউ বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানোর বা বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা এ ধরনের বার্তার প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমরা আশা করি আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠী যেমন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে। যেভাবে তারা তদন্ত করেছিলেন, ২০১৩ সালে হেফাজত কর্মীদের গণহত্যার বিষয়ে।

শফিকুল আলম বলেন, এই অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশকে অন্যায়ভাবে চিত্রিত করছে। আমি বিশ্বের স্বাধীন সংবাদপত্র ও অধিকার গোষ্ঠীগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা বাংলাদেশে আসুন এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দেখুন।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
জনপ্রিয়
সর্বশেষ