রাজশাহী সংবাদদাতা:
রাজশাহীতে যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে বিয়ের পর ফুলশয্যার আগেই দেনমোহরের টাকা নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর রহমান (৫৮) দাবি করেছেন, বিয়ের চারদিন পর তাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন ওই নারী। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন মোস্তাফিজুর।
২০ নভেম্বর রাতে নগরীর মেহেরচন্ডি এলাকায় একটি কাজী অফিসে মোস্তাফিজুর রহমান তিন লাখ তিন হাজার টাকা দেনমোহরে তামান্না আক্তার ফেন্সিকে (৩১) বিয়ে করেন। তামান্না যুব মহিলা লীগের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নেত্রী হিসেবে পরিচিত। বিয়ের পর শহরের একটি তিন তারকা হোটেলে ফুলশয্যার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
তবে বিয়ের রাতেই তামান্না কৌশলে টাকা রেখে আসার কথা বলে বাড়ি চলে যান এবং আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে মোস্তাফিজুর জানতে পারেন, তামান্না ২৪ নভেম্বর তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন।
মোস্তাফিজুর জানান, বিয়ের আগে তামান্নাকে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার টাকা দিয়েছেন। বিয়ের দিন দেনমোহর ছাড়াও অন্যান্য খরচের জন্য ২৪ হাজার টাকা এবং বাজার করার জন্য ৬০ হাজার টাকা দেন। তিনি আরও দাবি করেন, তামান্না তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এর আগে একই ধরনের কৌশলে তামান্না আরও কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তামান্না আক্তার ফেন্সি পালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মোস্তাফিজুর তাকে বিয়ের সময় দুই কাঠা জমি, একটি ফ্ল্যাটবাড়ি এবং মেয়ের দায়িত্ব নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে তিনি এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। তিনি আরও দাবি করেন, দেনমোহরের তিন লাখ তিন হাজার টাকা তিনি বাস্তবে পাননি।
চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান জানান, মোস্তাফিজুর অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যুব মহিলা লীগের নগর সভাপতি ইসমত আরা জানান, তামান্না কোনো পদে নেই। তিনি ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন। এই ঘটনায় দলীয়ভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
বিয়েকে কেন্দ্র করে প্রতারণার এই অভিযোগ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। মোস্তাফিজুর দাবি করেছেন, তিনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। অন্যদিকে তামান্না বিষয়টি আদালতে সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।