শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পূর্বাহ্ন

আলু-তেলের পর এবার কোনটা, দাম বাড়া নিয়ে শঙ্কায় ক্রেতারা
জাগো বাংলা / ২৪ টাইম ভিউ
আপডেট সময় : শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বছরের শেষ দিকে এসে ভোগ্যপণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সবজি, চাল, আটা, ছোলা, আলু ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। তবে ভোজ্যতেলসহ কিছু পণ্যের বাজারে এখনও অস্থিরতা রয়েছে।

রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় দামে স্বস্তি ফিরেছে। বৃহস্পতিবার মহাখালী, বনানীর বউবাজার ও কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি শীতকালীন সবজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। কয়েক দিন আগেও এসব সবজি ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

সবজি ব্যবসায়ী তাকদির হোসেন জানান, সরবরাহ বাড়ায় দামে প্রভাব পড়েছে। তবে পরিবহন খরচ ও বাজারে আনুষঙ্গিক ব্যয় যোগ হওয়ায় খুচরা বাজারে দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।

বাজারে নতুন ধান আসায় চালের দামও কমতে শুরু করেছে। মাঝারি চালের দাম কেজিপ্রতি ৫৭ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে নেমে এসেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মোটা চালের দাম ৫০ থেকে ৫২ টাকা, যা কেজিপ্রতি ৩ টাকা কম। সরু চালের (মিনিকেট) দামও কিছুটা কমেছে।

চাল ব্যবসায়ী শাওন আহমেদ বলেন, “নতুন ধান আসায় চালের বাজারে চাপ কমেছে। বিশেষ করে মাঝারি চালের দামে বেশি প্রভাব পড়েছে।”

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম আবারও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৬৭ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ থেকে বেড়ে ১৫৭ টাকা এবং পাম তেলের দামও একই হারে বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।

ডিমের দাম কিছুটা কমলেও মুরগির বাজার এখনও স্থিতিশীল। ফার্মের ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৫ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দামের সাম্প্রতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে এখনও শঙ্কা কাটেনি। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. ইফতেখার আহমেদ বলেন, “অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেন। ফলে পণ্যের দাম কখন বাড়বে, তা বলা যায় না। আমাদের জিম্মি করে বারবার দাম বাড়ানো হয়।”

বছরজুড়ে ব্যবসায়ীদের টালবাহানা, সরবরাহ সংকট এবং সরকারের শুল্ক সুবিধার পরও ভোক্তারা নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। অনেকেই চাহিদা কমিয়ে ব্যয় সামলাতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালীন সরবরাহ ও সরকারের শুল্ক সুবিধার কারণে বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে টেকসই হবে কিনা, তা নির্ভর করছে বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও নীতি বাস্তবায়নের উপর।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
জনপ্রিয়
সর্বশেষ