বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাট জেলা সদরের ১০ নং ডেমা ইউনিয়নের খেগড়াঘাট ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা দাউদ শেখ ও তার বাহিনীর অত্যাচার থেকে মুক্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী শেখ বাদশা। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ বাদশা লিখিত বক্তব্যে জানান, দাউদ শেখ ও তার সহযোগী আকিকুল শেখ, শরিফুল শেখ, রফিকুল শেখ, রাকিব শেখ এবং রাতুল শেখের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি, চাঁদাবাজি, মারধর, সম্পত্তি দখল এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে শেখ বাদশা বলেন, তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
শেখ বাদশা দাবি করেন, দাউদ শেখ একজন হত্যা মামলার আসামি এবং তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে। রামপালের বাঁশতলী এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিতাড়িত হয়ে তিনি বর্তমানে ডেমা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ বাদশা জানান, দাউদ শেখ গত ১ মাস পূর্বে আমার কাছে ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। আমার বাড়ীতে আশা যাওয়ার পথে রাস্তায় প্রায় সময় আমাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। গত ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে ঘেরের মাছ বিক্রির ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দাউদ শেখ ও তার সহযোগীরা আমার পথরোধ করে মারধর করে। তারা পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আরও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে বলে হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, শরিফুল শেখ ও আকিকুল শেখের স্ত্রী ১৩ ডিসেম্বর তাদের গোয়াল ঘরে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একই দিনে রাতের বেলায় দাউদ শেখের লোকজন একটি গরু চুরি করে পেশকারাবাদ এলাকায় রাখে। পরে সাজানো বিচারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শেখ বাদশা বলেন, একজন আওয়ামী লীগ নেতা হয়েও দাউদ শেখ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্প্রীতি রেখে এলাকায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। আমরা সাধারণ এলাকাবাসী তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে মুক্তি চাই।
সংবাদ সম্মেলনে দাউদ শেখ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। তারা আশাবাদী, সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এলাকায় শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।