ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায় ইসলামী বক্তা মাওলানা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আখাউড়া উপজেলার নিলাখাদ গ্রামে অনুষ্ঠিত একটি ওয়াজ মাহফিলে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তাহেরীকে প্রধান আসামি করে মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিলাখাদ গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০), এবং একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার রাতে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়েছে, বিনা অনুমতিতে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনে একটি জমিতে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করা হয়। মাহফিলে বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী উপস্থিত জনতাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করেন।
ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাহেরী জনতাকে উদ্দেশ করে বলেন, আমার মাহফিলে পুলিশ সবসময় বাধা দেয়। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা সুন্নি জনতা কাউকে ছাড় দেব না।
তার বক্তব্যে উত্তেজিত হয়ে জনতা লাঠিসোঁটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআই মো. বাবুল মিয়া আহত হন এবং তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বিট অফিসাররা জানান, উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার কারণে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের তৎপরতা ছিল দ্রুত। তবে এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নজরদারি চালাবে।
এ ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে।