জাগো বাংলা ডেস্ক:
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। এটি বাঙালি জাতির জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌম জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের আলোকোজ্জ্বল ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। বিজয়ের ৫৩তম বর্ষে জাতি গভীর শ্রদ্ধা, শোক ও গর্ব নিয়ে স্মরণ করছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছিল।
বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে সেই সব বীর সন্তানকে, যারা জীবনের বিনিময়ে দেশকে মুক্ত করেছিলেন। এ দিনে স্মরণ করা হয় অগণিত মা-বোনকে, যারা সম্ভ্রম হারিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, আসুন ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বাণীতে উল্লেখ করেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল ভোগ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বিজয় দিবস কেবল আমাদের গর্বের উৎস নয়, এটি আমাদের শপথের দিনও। শপথ আমাদের একতাবদ্ধ থাকার, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার।
বিকেলে বঙ্গভবনে বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দেশের বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বিজয় দিবস উপলক্ষে ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকার ডাটাকার্ড প্রকাশ করেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল ও জেলখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা ও পায়রা বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত। সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বিনামূল্যে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিনটি কেবল বিজয়ের নয়, বরং শপথ গ্রহণেরও দিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিজয় দিবস জাতিকে অনুপ্রাণিত করে।