আদালত প্রতিবেদক:
জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীসহ অন্যান্য আসামিদের প্রিজনভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, শাজাহান খান, কামাল আহমেদ মজুমদার, আব্দুর রাজ্জাকসহ মোট ১৬ জনকে এই মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু , সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
২০১১ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে হত্যার নির্দেশ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি চালানো ও নির্বিচারে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। এতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটার পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকার গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২৭ অক্টোবর ১৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। গণহত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্তদের বিচার দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।