শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন

যারা আমার বিরোধী ছিল এখন তারা বন্ধু হতে চায়: ট্রাম্প
জাগো বাংলা / ১০ টাইম ভিউ
আপডেট সময় : বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

জাগো বাংলা ইউএসএ :

নির্বাচনে জয়ের ছয় সপ্তাহ পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখলেন। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই সম্মেলনে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন, যার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ, নিউ জার্সির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া রহস্যময় ড্রোন এবং টিকটকের ভবিষ্যৎ উল্লেখযোগ্য।

ট্রাম্প তার বক্তব্যে ইসরায়েল ও ইউক্রেন ইস্যুতে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তবে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা কিংবা ইরানে সামরিক হামলার পক্ষে আছেন কিনা, এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বভাবসুলভ মজার ছলে কথা বলেন তিনি, যা তার প্রচারণার আক্রমণাত্মক ভাষার তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন ছিল। তবে ২০১৭-২০২১ সালে তার প্রথম প্রশাসনের সময়ের মতো এবারও কিছু বেফাঁস মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প বলেন, তিনি ওয়াশিংটনের নীতিমালা এবং কূটনৈতিক কার্যক্রমের প্রতি এখন অনেক বেশি অভ্যস্ত। তিনি মজা করে বলেন, “প্রথমবার সবাই আমার বিরুদ্ধে ছিল। এবার সবাই আমার বন্ধু হতে চায়। আমি জানি না, আমার ব্যক্তিত্ব বদলেছে, নাকি কিছু অন্যরকম হয়েছে।”

২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফেরার জন্য ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভা এবং সহযোগী টিম নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তার উপদেষ্টারা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি নীতি ও সরকারে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।

সম্মেলনে তিনি জাপানের প্রযুক্তি কোম্পানি সফট ব্যাংকের একটি বড় বিনিয়োগের খবর জানান। সফট ব্যাংক গ্রুপের সিইও মাসায়োশি সনকে পাশে রেখে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, কোম্পানিটি আগামী চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নির্বাচনের পর ট্রাম্প এখনও তার স্বাক্ষর র‍্যালি শুরু করেননি। তিনি মূলত সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট এবং সীমিত বক্তৃতার মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন ভবিষ্যৎ নীতিমালা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেয়।

২০ জানুয়ারি তার হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে হবে, যখন দেশ অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশনীতির জন্য একটি পরীক্ষা হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

এই সম্মেলন ট্রাম্পের প্রশাসনিক পরিকল্পনা এবং মার্কিন অর্থনীতির অগ্রগতি নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
জনপ্রিয়
সর্বশেষ