

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাট সদর উপজেলার কাপালিবন্দর মৌজার রুমিছা বেগম ও রহিমা বেগমের পরিবারের ভোগদখলীয় জমি নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১ একর ৮৬ শতক জমি তারা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ভোগদখল করছেন এবং বর্তমানে মাছের ঘের হিসেবে ব্যবহার করছেন। তবে মালা বেগম নামের এক ব্যক্তি এই জমির মালিকানা দাবি করে আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় মামলা করেন।
শেখ রনিকুজ্জামান জানান, তার মামা মুনসুর আলী তালুকদার জীবিত থাকা অবস্থায় এসএ খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে বেশি জমি বিক্রয় করেছিলেন। পরবর্তীতে ভুলক্রমে মুনসুর আলী তালুকদারের নামে কিছু জমি বিআরএস পর্চায় রেকর্ড হয়। সেই সূত্রে ওয়ারিশগণ অতিরিক্ত জমি বিক্রয় করেন। এই প্রক্রিয়ায় মালা বেগম ওই জমি ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন এবং এখন তা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মালা বেগমের দায়ের করা মামলার রায়ে উল্লেখ করা হয় যে, মামলার আরজি ও জবাব, স্থানীয় ভূমি অফিসের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনার পর প্রমাণিত হয় যে, মামলার আরজীতে উল্লিখিত দাবি সঠিক নয়। আদালত আরও উল্লেখ করেন, জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিষয় ফৌজদারী আদালতের বিচার্য নয়। এ কারণে মামলাটি নথিজাত অন্তে নিষ্পত্তি করা হয়।
মালা বেগম জানান, তিনি উক্ত জমি ক্রয় করেছেন এবং জমির মালিকানা তার রয়েছে। তিনি বলেন, “আমার ক্রয়কৃত জমি তাই আমি সাইনবোর্ড লাগিয়ে জমি দখল করেছি।”
রুমিছা বেগম ও রহিমা বেগমের পরিবার এই জমি তাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি বলে দাবি করেন। তারা জানান, আদালতের রায়ে জমির মালিকানা আমাদের এখানে মালা বেগমের দাবি ভিত্তিহীন।